প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'সরকার হটাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের 'রাজপথ দখলে'র প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংগ্রাম শুরু হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এ লড়াই দেশ বাঁচানোর লড়াই। গণতন্ত্র মুক্তির লড়াই।'
-গতকাল সন্ধ্যার আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিসহ সম্প্রতি ভোলায় পুলিশের গুলিতে দলের দুজন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু সমাবেশ পরিচালনা করেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, আমান উল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনসহ দল ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করেন।
'প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, কর্মচারী। আপনাদের কাজকর্ম দেশের জনগণের জন্য। নিরপেক্ষভাবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমাবেশ চলাকালে সমাবেশস্থলের ওপর দিয়ে ড্রোন চলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার ইরান থেকে ড্রোন কিনে নিয়ে এসেছে। সেখান থেকে ট্রেনিংও দিয়ে এনেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এগুলো নাকি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের ওপর মনিটরিং করার জন্য এনেছে। কিন্তু আমরা শঙ্কিত। কারণ বিভিন্ন দেশে বিরোধী নেতাকর্মীর গতিবিধি লক্ষ্য করা এবং তাদের হত্যার জন্যই এসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সমাবেশে আসার সময় উত্তরা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারের অভিযোগ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আগামী ২২ আগস্ট থেকে দেশের সব উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে আমরা ছড়িয়ে পড়ব এবং সেই একইভাবে প্রত্যেকটি উপজেলা, জেলায় ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে শান্তিপূর্ণভাবে জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা এ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব ইনশাআল্লাহ।
দুই গ্রুপের মারামারি, কয়েকজন আহত : বিএনপির সমাবেশে অংশ নেওয়া সাবেক ছাত্রদল নেতাদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে সমাবেশস্থলে বসার জায়গা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রস্তুতি ঢাকায় সমাবেশ, 'রাজপথ দখলে নিতে চায় বিএনপি'
বিএনপির সমাবেশে ড্রোন : বিএনপির এ সমাবেশ চলাকালে নয়াপল্টন পলওয়েল ও চায়না টাউন মার্কেটের আকাশে কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। যদিও কে বা কারা ড্রোন উড়িয়েছে তা জানা যায়নি। সমাবেশ চলাকালে আকাশে ড্রোন ওড়ানোর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের কোনো সংস্থা হয়তো আকাশে ড্রোন উড়িয়ে সমাবেশের উপস্থিতি দেখছে। কারণ সাধারণ মানুষের ড্রোন ওড়ানোর কোনো অনুমতি নেই।